মানভূমের ভাদু: নারীচেতনার প্রেক্ষিতে
ড. ব রু ণ   ম ণ্ড ল
বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম সীমান্তবর্তী জেলা পুরুলিয়া। ‘টাঁড়-ডুংরি-জল-জমিন-জঙ্গলকেন্দ্রিক’ এই জেলা ইতিহাসের বহু ঘটনার সাক্ষী। ‘লোকসংস্কৃতির স্বর্ণখনি’ এই পুরুলিয়া। কৃষিকেন্দ্রিক মানভূমের জনমানস স্বচ্ছতা সরলতার প্রতিমূর্তি।নিজস্ব বিশ্বাসে অটুট এই ‘হড়মিতান’ জনগোষ্ঠী বারোমাসে বহু উৎসব পালন করে। পুরুলিয়া জেলা তথা অখণ্ড মানভূমের আখ্যাইন্ যাত্রা, গাজন, রোহিন, মনসাপূজা, করম, ইঁদ, জিতা, ছাতা, বাঁদনা, জিহুড়, টুসু-র পাশাপাশি সীমান্ত বাংলার অন্যতম প্রধান লোক উৎসব ভাদু। এই ভাদুগানে নারীভাবনা কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে আমরা আমাদের আলোচনায় তা তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
ভাদ্র মাসে এই ভাদুপূজা অনুষ্ঠিত হয়। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, জেলার অংশবিশেষ এবং ঝাড়গ্রাম জেলার উত্তর সীমান্ত এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভাদু উৎসবের প্রচলন রয়েছে।
উত্তর-পূর্ব মানভূমের উচ্চবর্ণের বর্ধিষ্ণু পরিবারের মধ্যে প্রচলন বেশি।একইসঙ্গে ঐ অঞ্চলের বাউরি এবং বাগ্দি সম্প্রদায়ের মধ্যে এর প্রভাব অনেক বেশি। তবে আদিবাসীদের মধ্যে এর প্রচলন নেই।টুসু পরবের অনুকরণে এর গতিবেগ এবং এই উৎসব একটি বিশেষ অঞ্চলের লোক উৎসব। ভাদুপরবের প্রাণ ভাদুগান। বিশেষ কোনো পূজাপাঠের প্রচলন ভাদুগানে নেই।
মানভূমের এই বিশিষ্ট লোকউৎসব ভাদু পরব প্রতি বছর ভাদ্র মাসের সংক্রান্তির দিন জাঁকজমক সহকারে অনুষ্ঠিত হয়। অবশ্য সন্ধ্যাবেলায় প্রদীপজ্বালানোর আগে সকালবেলায় সলতে পাকানোর মতো ভাদুর সূচনা হয় ১ ভাদ্র থেকেই।ওইদিন ভাদুর মূর্তি নিয়ে আসা হয় আর ওইদিন থেকেই মেয়েরা প্রতি সন্ধ্যায় সকলে মিলে ভাদুগান গেয়ে ভাদুর আরাধনা করে। এইভাবে একমাসব্যাপী চলার পর আসে সেই সংক্রান্তির দিন। ভাদুর বিসর্জন।তার আগের রাতের মূল অনুষ্ঠান হল ‘জাগরণ’।দিনের বেলায় ভাদুর জন্য নির্দিষ্ট পিঁড়িতে বাজার থেকে ভাদুর মৃন্ময় মূর্তি কিনে এনে বসিয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়। তারপর সারারাতব্যাপী নিরবচ্ছিন্নভাবে গানে গানে চলে ভাদুর আরাধনা। এইদিন গোটা পুরুলিয়া জেলা হয়ে উঠে উৎসব মুখর।পরেরদিন সকালবেলা দলবেঁধে মেয়েরা ভাদুভাসান করতে যায়।
ভাদুপরবের উদ্ভব সম্পর্কে নানারকমের কাহিনি শোনা যায়। ভাদু কে? দেবী না মানবী? এ নিয়েও পণ্ডিতমহলে বিতর্কের শেষ নেই।তবে ‘রুখা মাটির’ পুরুলিয়া জেলার পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত কাশিপুরই ভাদুগানের উৎসস্থল বলে পণ্ডিতেরা মত প্রকাশ করেছেন। এই উৎসবের সঙ্গে পঞ্চকোটরাজ মহারাজা নীলমণি সিং দেওয়ের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। মহারাজা নীলমণি সিং দেওয়ের অকালে ঝরে যাওয়া কন্যা ভদ্রাবতীই ভাদুরূপে পূজিতা হন। কন্যার শোকে শোকগ্রস্ত রাজার আদেশেই কাশিপুর এলাকার মানুষজন ভাদুপূজা শুরু করেন। এই মত সমর্থনেরও যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ‘সীমান্ত বাংলার’ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এই উৎসবের প্রচলন থাকলেও কাশিপুর এলাকায় ভাদুপূজা অনেক বেশি ধূমধাম করে পালন করা হয়। প্রচলিত ভাদুগানগুলিতেও এর সমর্থন পাওয়া যায়—
“কাশিপুরের মহারাজা সে করে ভাদুপূজা
সন্ধ্যা হলেই ঝারল বাজে থালে জিলিপি ভাজা।’’১
অনেকে আবার মানভূমের প্রাচীন জনজাতিগুলির মধ্যে ভাদুপূজার প্রচলন দেখতে না পেয়ে একে অপেক্ষাকৃত আধুনিককালের বলে মত প্রকাশ করেছেন। তবে অনেকেই মনে করেন রাজকন্যা ভদ্রাবতীকে নিজেদের অন্তরে চির জাগরূক রাখার জন্যই টুসু পরবের আদলে ভাদুপূজার সূচনা হয়।
নারীকেন্দ্রিক এই উৎসবে পরিবেশিত গানগুলি বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে রচিত। রামায়ণ-মহাভারতের মতো পুরাণকেন্দ্রিক গানগুলির পাশাপাশি শাক্তপদাবলীর আগমনী বিজয়ার গানের মতো ভাদুরও আগমন এবং বিসর্জনের গান রয়েছে। তবে ভাদুগানে মেয়েদের জীবনচর্চা ও জীবনচর্যা জীবন্তভাবে উঠে এসেছে।
রাজকন্যা ভদ্রাবতী জগজ্জননী উমার মতোই বাড়ির আদরিনী কন্যাতে পরিণত হওয়ায় তার কাছে নারীরা ‘মনের কথা’ বলতে পেরেছেন। এ কারণেই ভাদুগানে নারীদের একান্ত নিজস্ব জগতের কথা উঠে এসেছে। বিশেষ করে অন্ত্যজ সম্প্রদায়ের নারীদের জীবিকার কথা অতি সুন্দরভাবে উঠে এসেছে—
“কাশিপুরের রাজার বিটি বাগ্দী ঘরে কি কর।
হাতের জালি কাঁখে লয়ে সুখ সায়রে মাছ ধর।
মাছ ধরনে গেলে ভাদু ধানের গুছি ভাঙ্গিও না।
একটি গুছি ভাঙলে পরে পাঁচসিকা জরিমানা।।’’২
এই গানটি থেকে বাগ্দী মেয়েদের মাছ ধরে জীবিকা অর্জনের কথা জানতে পারা যায়। অন্যের ক্ষেতে মাছ ধরতে গিয়ে ধানের গাছ ভাঙ্গলে পাঁচসিকে জরিমানা দিতে হবে বলেও ভাদুকে সতর্ক করে দেন। ভাদ্র–আশ্বিন মাসে ধান ক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের মাছ জন্মায়।[অবশ্য কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপকহারে রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে ক্ষেতের ধানফুল সহ বিভিন্ন জিওল মাছ আজ লুপ্তপ্রায়।] সেই মাছ ধরার জন্য শ্রমজীবী নারীরা কখনই স্বামীর মুখাপেক্ষী ছিলনা। নিজেদের পেটের ভাত-কাপড় নিজেরাই জোগাড় করে নেয় উপরোক্ত ভাদুগানটি সে সাক্ষ্যই বহন করে।
ভাদুগানগুলিতে আদরিণী কন্যার নানান বায়নার কথা অত্যন্ত যত্ন সহকারে পরিবেশন করা হয়েছে। সেখানে শ্বশুরবাড়ির প্রসঙ্গ উঠে আসে। একজন কন্যাকে বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে পাঠানোর সময় শাড়ি,সায়া,ব্লাউজের বায়না মেটাতে হয়। এখানেও পাই—
“কি কি শাড়ি লিবি বলনা গো ভাদু আমারে।
কদম ফুইল্যা শাড়ি লিব শায়া লিব বাহারে।।’’৩
তেমনই নারী জীবনের চরম শত্রু সতীনের কথাও ভাদুগানের বিষয় হয়ে উঠেছে। ত্রিশ দিন ধরে পূজা করার পর ঘর থেকে বের করে চুমানোর পর গাওয়া তেমনই একটি গান—
“যাইছঅ যাইছঅ যাইছঅ ভাদু পেছু দিগে ভাইলঅ না।
মাঝ কুল্হিতে সতীন আছে পান দিলে পান খাইঅ না।।’’৪
মানভূম অঞ্চলেও যে বহুবিবাহ প্রথা প্রচলিত ছিল এই গানটি থেকে সহজেই তা বোঝা যায়। এখানে ভাদুর সতীনের প্রসঙ্গ এসেছে, যদিও সর্বত্রই ভাদুকে কুমারী বলা হয়েছে। আসলে এ আর কিছুই নয় পরমাত্মীয়ের কাছে নিজের দুঃখ উজাড় করে দেওয়া। সতীনরা সবসময় যেন তেন প্রকারেণ পারস্পরিক ক্ষতিসাধনের জন্য সুযোগের অপেক্ষায় থাকত। আর সুযোগ পেলেই কার্যসিদ্ধির জন্য চেষ্টার ত্রুটি থাকতনা। তাই সতীনের দেওয়া পান খেতে নিষেধ করা হয়েছে। আমাদের মনে হয় এখানে মানভূম অঞ্চলে নারীদের ‘তুকতাক’ তথা বশীকরণে বিশ্বাসী মানসিকতার প্রকাশ ঘটেছে।
মানবী ভাদুই মানভূমে লৌকিক দেবীতে পরিণত হয়েছে। তাই নিষ্ঠা সহকারে পূজা করার পাশাপাশি ভাদুর কাছে সন্তান প্রার্থনার মানতও করা হয়—
“যদি কোলে আসে যাদু, আইসছে বছর আইনবঅ ভাদু।’’৫
জীবন-জীবিকা, মানতের কথা যেমন উঠে এসেছে তেমনি অখ্যাতনামা ‘মানভূমি কন্যাদের’ মুখেমুখে সৃষ্টি হওয়া গানগুলির মধ্যে বহু ক্ষেত্রেই পুরুষতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কখনো বা সরাসরি কখনো বা ব্যঞ্জনার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
উনিশ শতকে শিক্ষাদীক্ষায় উন্নতিলাভ করে বাঙালি নারীর কণ্ঠে পুরুষতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছিল—সেই প্রতিবাদ ভাষারূপ লাভ করেছিল তাঁদের সৃষ্ট সাহিত্যে।তবে এ সময়কালে ‘টাঁড়–ডুংরির’ মেয়েরা শিক্ষার আলোক থেকে অনেকটা দূরে ছিল বলেই আমাদের মনে হয়।তবে তারা যে ‘নাগরিক নারী’-দের তুলনায় প্রতিবাদে অনেক বেশি মুক্তকণ্ঠ হতে পেরেছিল ভাদুগানগুলি তার জাজ্বল্য প্রমাণ দেয়। অবশ্য শুধু ভাদুগানেই যে এই প্রতিবাদ ভাষারূপ লাভ করেছিল তা নয় ঝুমুরগান, টুসুগান, জাওয়া গানেও ‘মানভূমী কন্যাদের’ প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর শোনা যায়।
ভাদুপূজা নারীর প্রতি শ্রদ্ধার এক উজ্বল দৃষ্টান্ত।পঞ্চকোট রাজবাড়ির পৃষ্ঠপোষকতায় এই উৎসব শুরু হয়েছিল একথা যেমন ঠিক তেমনি আমাদের মনে রাখতে হবে ‘অকালে ঝরে যাওয়া’ এক কন্যা বেঁচে আছে এই লোক উৎসবে।আর এর আঙ্গিকেই সংঘবদ্ধ নারীচেতনা স্থান পেয়েছে। যে সময়ে বাঙালি নারীদের মধ্যে পর্দাপ্রথা সম্পূর্ণরূপে অবলুপ্ত হয়নি—এই প্রথায় ভাঙন ধরেছিল মাত্র।সেই সময় এই প্রান্তিক অঞ্চলের নারীরা অন্যের বাড়িতে গিয়ে ভাদুগান গেয়েছে এমনকি গ্রামের পুরুষদের সামনে দিয়ে ভাদু ভাসাতে নিয়ে গেছে, তুলে ধরেছে পুরুষের অকর্মণ্যতাকে, অপদার্থতাকে তাদের ভাদুগানে—
“যাবার বেলায় সুনঅ ভাদু দুখেরঅ কহনি।
অপর কুল্হির মদনার ব্যাটা বউকে ঠ্যাঙাই দ্যাখায় মদ্দানি।’’৬
(যাবার বেলায় ভাদু শুনে যাও দুঃখের কাহিনি, অপর পাড়ার মদন নামক ব্যক্তির ছেলে তার স্ত্রীর উপর অত্যাচার করে আস্ফালন দেখায়।)
এই গানটিতে নারীদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে মুখর নারীসমাজকে খুঁজে পাওয়া যায়। নির্বোধ পুরুষেরা নিজের অক্ষমতাকে ঢাকা দেবার জন্যই নারীর ওপর অত্যাচার করে থাকে এবং অন্যের কাছে তা প্রকাশ করে ‘বীরত্বের’ পরিচয় দেয়। ভাদুগানের মাধ্যমে এই অত্যাচারকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে ‘বউকে ঠ্যাঙাই দ্যাখায় মদ্দানি’ কথাটির মাধ্যমে।
নারীর প্রতি অত্যাচারের প্রতিবাদ ছাড়াও পণপ্রথা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নেতৃবৃন্দের প্রতিও তীব্র বিদ্বেষ বর্ষিত হয়েছে ভাদুগানে—
“পণ দিঅনা পণ দিঅনা বইল্যে ভাদু যারা বেশি লাফাছ্যে।
উয়ারাই ব্যাটার বিহায় বেশি টাকা লিছে গো ভাদু।’’৭
(পণ দেওয়ার বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করছে তারাই নিজের ছেলের বিয়েতে মোটা টাকা পণ নিচ্ছে।)
বিশ শতকের আটের দশকে পুরুলিয়া জেলাতে পণপ্রথা সম্পর্কিত আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়েছিল। শোনা যায় বেশ কিছু গন্যমান্য ব্যক্তি এর নেতৃত্বে ছিলেন। তাঁরা গ্রামেগ্রামে প্রচারও শুরু করেছিলেন। অথচ অল্পদিনের মধ্যেই তাঁদের ছদ্মরূপ ধরা পড়ে যায়। নিজেদের ছেলেমেয়ে বা আত্মীয়স্বজনের বিয়েতে গোপনে পণ দেওয়ার বিষয়টি ঠিক রেখেছিল। উক্ত ভাদুগানটিতে সেই ভণ্ডামিকেই কটাক্ষ করা হয়েছে। আবার পঞ্চায়েত সদস্যদের গ্রামের রাস্তা তৈরির ব্যর্থতার উদ্দেশে একটি ভাদুগান—
“আম্দের গাঁয়ের কুল্হি কাদা ভাদু আছাড় খাঁয়েছে।
পঞ্চাহিতের খালভরারা সড়প দিতে লার্যেছে।’’৮
(আমাদের গ্রামের রাস্তা কাদা তাতে ভাদু পরে গেছে এবং পঞ্চায়েতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা রাস্তা তৈরি করতে পারেনি।)
আদরের ভাদু গাঁয়ের রাস্তায় পড়ে যাওয়া উপলক্ষ্যমাত্র। আসলে পঞ্চায়েত সদস্যদের ব্যর্থতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়াই এর মূল উদ্দেশ্য।
আমরা আমাদের আলোচনায় দেখলাম বিচিত্র বিষয়কেন্দ্রিক ভাদুগানে নারীদের জীবনযাত্রার বিস্তারিত পরিচয় রয়েছে। তবে নারীদের প্রতিবাদের ভাষা এখানে এক অন্যরূপ লাভ করেছে। যে সময়কালে নারীরা পুরুষের অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করাটাই ‘বিধিলিপি’ বলে মনে করত সেখানে গ্রামের পুরুষদের সামনে ভাদুগানের মাধ্যমে মানভূম অঞ্চলের নারীদের উচ্চকণ্ঠ প্রতিবাদ একবিংশ শতাব্দীর নারীবাদী চিন্তকদেরও ‘মানভূমী’ কন্যাদের সম্পর্কে ভিন্নভাবে ভাবতে বাধ্য করবে।
তথ্যসূত্র:
১। মাহাতো, ড.ক্ষীরোদ চন্দ্র,মানভূম সংস্কৃতি, বঙ্গীয় সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, ২০১৬, পৃষ্ঠা ৬২।
২। মাহাত, বঙ্কিমচন্দ্র, ঝাড়খন্ডের লোকসাহিত্য, বাণীশিল্প, কলকাতা, ২০০০, পৃষ্ঠা ৫৩।
৩। করণ, ড.সুধীরকুমার, সীমান্ত বাঙলার লোকযান, করুণা, কলকাতা, ১৪০২ বঙ্গাব্দ, পৃষ্ঠা১২৬।
৪। সাক্ষাৎকার: বাউরি, প্রতিমা, বয়স: ৪৮ বছর, গ্রাম: হুচুকডাঙ্গা, পোস্ট: সিয়াদা, জেলা: পুরুলিয়া, তারিখ: ২৬.১২.২০২১।
৫। তদেব।
৬। তদেব।
৭। সাক্ষাৎকার: মণ্ডল, কৌশল্যা, বয়স: ৬০ বছর, গ্রাম: রামপুর, পোস্ট: সিয়াদা, জেলা: পুরুলিয়া, তারিখ: ২৮.১২.২০২১।
৮। মাহাতো, ড.ক্ষীরোদ চন্দ্র, পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা ৬৯।

লেখক পরিচিতি:
ড. বরুণ মণ্ডল
অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, বাংলা বিভাগ, পঞ্চকোট মহাবিদ্যালয়, সরবড়ি, পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ।
ই-মেইল: barun.970@rediffmail.com
আরও পড়ুন...
রবীন্দ্র গুহ-র সাহিত্য: একটি ভূমিকা
___আসানসোলে রেলোপলিস: এক সন্ত্রস্ত ঘরকুনোর অসমাপ্ত আত্মকথন
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়চল্লিশের সংকট, বাংলা কবিতা ও কিছু ভাবনা
সুনিমা ঘোষজীবনের ঘের থেকে মুক্ত পথে…
সব্যসাচী হাজরাজীবন্ত ক’রে তোলার হর্ষোল্লাস
সব্যসাচী হাজরাসাহিত্যের ম্যারাথন রেসে উড়োমানুষ রবীন্দ্র গুহ
রুণা বন্দ্যোপাধ্যায়রবীন্দ্র গুহ-র উপন্যাস ইহদিল্লি শহরনামা
সঞ্জীব নিয়োগীঅসভ্য কৃষকের অসভ্য কথা
কানাই চৌহানকুসুম, রাজবীরের চেয়ে বড় ক্রান্তিনারী
তৃপ্তি সান্ত্রারবীন্দ্র গুহ-র স্ল্যাং-প্রযুক্তি
অজিত রায়রবীন্দ্র গুহ-র সঙ্গে বোধপ্রবাহ বিষয়ক কিছু কথাবার্তা
আলাপচারিতায় অজিত রায়অগ্রন্থিত গল্প: ঋত্বিকের একচিলতে ভূগোল
রবীন্দ্র গুহরবীন্দ্র গুহ-র সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও গ্রন্থপঞ্জি
___